মুসলিম নারীর ভরণপোষণের অধিকার সংক্রান্ত আইন ও আলোচনা
কতিপয় কারণ ছাড়া স্ত্রীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ত্ব পালন করতে স্বামী বাধ্য। আইনসঙ্গত কারণ ছাড়া স্বামী তার স্ত্রী তার স্ত্রীকে অবহেলা করলে বা তার ভরণ-পোষণ প্রদান করতে অস্বীকার করলে স্ত্রী তার নিজ ভরণ-পোষণের দাবিতে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা পর্যন্ত দায়ের করতে পারে যা আমাদের বাংলাদেশের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ৮ ধারা দ্বারাও স্বীকৃত। পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ ১৯৮৫ কার্যকর হওয়ার আগে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৪৮৮ ধারায় স্ত্রীগণ মামলা দায়ের করতে পারলেও বর্তমানে এসকল মামলা পারিবারিক আদালতে দায়ের করা হয়। অনেকক্ষেত্রে অন্যান্য আইনগত বিরোধের ন্যায় নোটিশ বা সামাজিক সালিশের মাধ্যমে ভরণ-পোষণ সংক্রান্ত বিরোধ আদালতের বাইরেই নিষ্পত্তি সম্ভব।
খোরপোষের পরিমান কত হওয়া উচিত এ নিয়ে প্রায়শই আমরা আইনজীবীরা প্রশ্নের সম্মুখীন হই। এই পরিমান কত হবে তার কোন স্ট্যান্ডার্ড ফর্মুলা বা অংক নেই। অভিজ্ঞতা ও উচ্চাদালতের পূর্বের অনুসরণীয় রায়ের প্রেক্ষিতে বলা যায় যে একজন স্ত্রীর খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান ভরণপোষণের অন্তর্ভুক্ত। তবে শুধুমাত্র একজন সাধারণ ব্যক্তির খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান বা মৌলিক চাহিদার কথা চিন্তা করলেই হবেনা। এক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রীর সামাজিক মর্যাদা বিবেচ্য হবে। এই পরিমান নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে বিজ্ঞ আদালত স্ত্রীর পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা, জীবন ধরণের মৌলিক চাহিদা, স্বামীর আয়, ব্যয়, সক্ষমতা ইত্যাদি বিবেচনা করতে পারবেন।
তালাকের পর স্ত্রীর ভরণপোষণের অধিকার: পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারাহর ভিত্তিতে বাংলাদেশের মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের প্রদত্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেন তবে তাকে অবশ্যই ইদ্দতের সময় ছাড়াও স্ত্রীর পুনরায় বিবাহ পর্যন্ত তাকে ভরণপোষণ প্রদান করতে হবে।
GULSHAN BRANCH
Office B2, House 06, Road 33, Gulshan-01,
Dhaka-1212
BARIDHARA DOHS OFFICE
2ND Floor, House 429, Road 7, Baridhara DOHS, Dhaka-1206